বিজ্ঞপ্তি:

পুরনো সমস্ত পোস্ট রিমুভ করা হয়েছে লিংক সংক্রান্ত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে । আপাতত টিনটিন এর লিংকটি Update করলাম। ধীরে ধীরে পুরনো সমস্ত পোস্ট ফিরে আসবে এবং নতুন আরো পোস্ট করা হবে । কমিক পড়ুন , কমিক পড়ান আর সাথে থাকুন Bengali PDF Comics এর। ধন্যবাদ ।

সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

শিল্পী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়

 শিল্পী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়

অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়


 কমিকস্ শিল্পী শ্রী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের নামের সাথে পরিচিত নয়, এমন বাঙালি কমিক পাঠক হয়তো শত চেষ্টা করলেও খুঁজে পাওয়া যাবে না । 
একজন প্রকৃত শিল্পীর পরিচয় হয় তাঁর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে । তেমনই অভিজিৎ বাবুর ক্ষেত্রেও তাঁর পরিচয় দীর্ঘদিন ধরে আনন্দমেলার পাতায় চলে আসা তাঁর তৈরি ফেলুদা এবং প্রোফেসর শঙ্কু কমিকগুলির মাধ্যমে । 
প্রোফেসর শঙ্কু-কে নিয়ে অভিজিৎ বাবু কাজ করতে শুরু করেন সম্ভবত ৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে । সত্যজিৎ রায়ের "প্রোফেসর শঙ্কু ও ইউ এফ ও" গল্পটি নিয়ে প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিক তৈরি করে অভিজিৎ বাবু সেটি দেখান সন্দীপ রায় মহাশয়কে । সন্দীপ বাবুই আনন্দ পাবলশার্স এর সাথে তাঁর যোগাযোগ করিয়ে দেন । এবং......তারপর আর তিনি থেমে থাকেননি ।


1996 সালে প্রথম বই আকারে বের হয় "প্রোফেসর শঙ্কু ও ইউ এফ ও"। তারপর থেকে এত বছর ধরে নিয়মিত এঁকে চলেছেন প্রোফেসর শঙ্কু ও ফেলুদা কমিকস ।
শিল্পী দেবাশীষ দেবের কথায়, অভিজিৎ বাবু নাকি হার্জ - এর কাজ দ্বারা খুব বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন । হার্জ এর সৃষ্টি টিনটিনে যেমন প্রতিটি লোকেশনের বৈশিষ্ট্য এবং সেখানে কালচার সপূর্ণ নির্ভুল ভাবে প্রতিফলিত হয়,তেমনি ফেলুদা বা শঙ্কু আঁকার সময় অভিজিৎ বাবুও চেষ্টা করেন সেই সব লোকেশনের নির্ভুল এবং যথাযথ বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরার । শুরুর বছরগুলোতে এই ব্যাপারটা কিন্তু খুব একটা সহজ ছিল না । কারণ তখন এখনকার মত ইন্টারনেট এত উপলব্ধ ছিল না । আর ছিল না অসংখ্য ভিডিও এবং ছবির সম্ভার। অভিজিৎ বাবুকে সেই জন্য জোগাড় করতে হয়েছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফি পত্রিকার অসংখ্য সংখ্যা । সেখান থেকেই যতটা সম্ভব ছবি এবং তথ্য নিয়ে তৈরি হতো শঙ্কু কমিক গুলি। 
প্রথম ফেলুদা কমিক


কিন্তু 2000 সালে যখন শিল্পী ঠিক করলেন এবার ফেলুদার "গ্যাংটকে গন্ডগোল" গল্পকে কমিকরূপ দেবেন.... তখন ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ম্যাগাজিনের ভরসায় তিনি থেমে থাকলেন না । সশরীরে গিয়ে উপস্থিত হলেন গ্যাংটকে ।
গল্পের প্রয়োজনে যে সমস্ত স্থানের ছবি আঁকার প্রয়োজন ছিল....সেই সব লোকেশনে গিয়ে ছবি তুলে নিলেন নিজের ক্যামেরায় । বিভিন্ন angle থেকে প্রচুর ছবি তুললেন ।
কিন্তু সমস্যা হলো ফায়ার প্লেস এবং চিমনিযুক্ত একটি বাংলোকে নিয়ে ।গল্পের ডিমান্ড এরকম একটা বাংলো, কিন্তু কিছুতেই আর পছন্দ মত বাড়ি পাওয়া যায় না। কোনোটাতে চিমনি আছে তো ভেতরে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ফায়ার প্লেসটাই নেই । কোথাও ফায়ার প্লেস পাওয়া গেলে দেখা যায় সেখানে রুম অ্যারাঞ্জমেন্টটি গল্পের সাথে ঠিক যাচ্ছে না ।সে এক বিরাট ঝামেলার ব্যাপার । এই ট্যুরে অভিজিৎ বাবুর সাথী হয়েছিলেন শিল্পী দেবাশীষ দেব । 
আপনারা যদি সেই গল্প দেবাশীষ বাবুর মুখ থেকে শুনতে চান , এই ভিডিওটিতে গিয়ে দেখতে পারেন (comix o graphics 2nd issue launch , part 4 video) ।
সেই প্রথম থেকেই অভিজিৎ বাবু যতগুলি ফেলুদা কমিক করেছেন আজ পর্যন্ত , সব গুলির জন্যেই নাকি তিনি সশরীরে সেই সব লোকেশনে গিয়ে ছবি তুলে এনেছেন এবং তারপর কমিক গুলি এঁকেছেন ।
এর থেকেই আমরা অভিজিৎ বাবুর কমিক প্রস্তুতের প্রতি একাগ্রতার কথা আন্দাজ করতে পারি । 

শিল্পী অভিজিৎ বাবুর সাথে তো আমাদের সকলেরই পরিচয় আছে তাঁর কাজের মাধ্যমে । কিন্তু মানুষ অভিজিৎ বাবু কেমন... সেটা জানতে চাইলে আমি অবশ্যই রেকমেন্ড করবো ইউটিউবে এই ইন্টারভিউ ভিডিও দেখুন । অভিজিৎ বাবুর ছোটো থেকে অনেক অজানা তথ্যই সেখানে শিল্পীর নিজের মুখ থেকে জানা গেছে । 

অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কিছু তথ্য ....

১। শিল্পীর প্রিয় শঙ্কু কাহিনী : আপনারা কি আন্দাজ করতে পারেন , শিল্পীর প্রিয় শঙ্কু কাহিনী কোনটি ? মজার ব্যাপার হলো সেই গল্পটি এখনও বাকি রেখেছেন শিল্পী । "স্বর্ণপর্নী" গল্পটি অভিজিৎ বাবুর সব থেকে প্রিয় গল্প হওয়া সত্বেও এখনও পর্যন্ত সেই কমিক প্রস্তুত করেননি তিনি।

২। হাতে লেখা স্পীচ বাবল্ নাকি কম্পিউটার টাইপড্ : আমরা বিভিন্ন শিল্পীর বিভিন্ন ভাষায় করা প্রচুর কমিক ইতিমধ্যে পড়েছি । এবং আমরা সেখানে দু রকমের স্পীচ বাবল দেখেছি । এক , হাতে লেখা স্পীচ বাবল্ । এবং দুই, কম্পিউটার টাইপড্ স্পীচ বাবল্ । কিন্তু মজার ব্যাপার হলো অভিজিৎ বাবুর করা শঙ্কু এবং ফেলুদা কমিকগুলিতে আমরা দুরকমেরই স্পীচ বাবল্ দেখেছি । যেখানে প্রথম দিকের গল্পগুলির সমস্ত সংলাপ হাতে লেখা হতো , কিন্তু ইদানিং কালের কমীকগুলিতে কম্পিউটার টাইপড্ স্পীচ দেখা যায় । এর কারণ জিজ্ঞেস করায় শিল্পী বলেন , ছবিতে সংলাপের জন্য যে টুকু জায়গা রাখা থাকে , তাতে সম্পূর্ন স্পীচ গুলি বসাতে গেলে যুক্তাক্ষর এর জায়গা গুলি খুব ঘিঞ্জি হয়ে যায় । তাই তিনি কম্পিউটার টাইপড্ সংলাপই বেশি উপযুক্ত মনে করেন ।
শিল্পী দেবাশীষ দেব একসময় অভিজিৎ বাবুর কমিকগুলীর সংলাপ লিখেছেন ।

৩। লোকেশন পারফেকশন : যেমন আমরা আগেই আলোচনা করলাম, শিল্পী অভিজিৎ বাবু গল্পের লোকেশনগুলি নিয়ে খুবই খুঁতখুঁতে । কোনোরকম ত্রুটি তিনি বরদাস্ত করবেন না । সমস্ত লোকেশন হবে নির্ভুল এবং যথাযথ । তাই তিনি ফেলুদা কমিকগুলি করার জন্য নিজে লোকেশন ভিসিট করে যথেষ্ট পরিমাণে ছবি তুলে নিয়ে আসেন ।

৪। সময় : একটি পূর্ণাঙ্গ ফেলুদা বা শঙ্কু কমিক করতে অভিজিৎ বাবুর সময় লাগে 4 থেকে 5 মাস । অভিজিৎ বাবুর কাজ দেখলেই আমরা বুঝতে পারবো সেগুলো কতটা সময় আর যত্ন নিয়ে করা । প্রথমে একটা চিত্রনাট্য বানানো থেকে শুরু করে রাফ স্কেচ , লাইনস ড্রইং , রং , স্ক্রিপ্টিং সব মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিক প্রস্তুত হয়ে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে 4-5 মাসেরও বেশি । তার পরেও বর্তমানে অভিজিৎ বাবু আমাদের প্রতিবছর দুটি করে কমিক উপহার দিয়ে চলেছেন । যা একজন শিল্পীর তার কাজের প্রতি একাগ্রতার প্রমাণ দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হয়তো ।

৫। কমিক পাঠক অভিজিৎ বাবু : আমরা যারা সাধারণ কমিক পাঠক... আমাদের হাতের সামনে একটা প্রিয় কমিক বই পেলেই সেটা সাথে সাথে গোগ্রাসে পড়ে শেষ করে ফেলি এক নিশ্বাসে । কিন্তু অভিজিৎ বাবু একজন সাধারণ পাঠক নন । তিনি একজন শিল্পীও। তিনি তাঁর প্রিয় কমিক বইগুলি পড়তে সময় নেন । মাঝে ব্রেক নিয়ে নিয়ে পড়েন । উদাহরণ দিতে গিয়ে অভিজিৎ বাবু বলেন , একটা সাধারণ টিনটিন এর বই পড়তে তাঁর সময় লাগে প্রায় 8 থেকে 9 ঘণ্টা । তিনি একবারে সবটা পড়ে নেন না । বইয়ে দিনের সীন গুলি তিনি পড়েন আসল দুনিয়ার দিনের বেলায় , সূর্যাস্তের সময়ের ঘটনাগুলি পড়েন সূর্যাস্তের সময় আবার রাতের ঘটনাগুলি পড়েন রাতের বেলায় । 

৬। অরিজিনাল কমিকস : অভিজিৎ বাবু নিজের অরিজিনাল ক্যারেকটার নিয়েও কমিক তৈরি করছেন অতীতে । তবে সেসব সম্ভবত প্রকাশিত হয়নি । বর্তমানে তাঁর নিজের অরিজিনাল গল্পের উপর ভিত্তি করে কমিক আসার সম্ভবনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন , তাঁর এক একটি কমিক প্রস্তুত করতে যে এতটা সময় লাগে... সেই দীর্ঘ সময়টা সাপোর্ট করবে কে ? সেই জন্যেই আপাতত কোনো অরিজিনাল কমিক আসছে না । 

৭। অলঙ্করণে অভিজিৎ বাবু : ফেলুদার যে কয়েকটি অসম্পূর্ণ গল্প থেকে গিয়েছিল , যায় অলঙ্করণ সত্যজিৎ রায় নিজে করে দিয়ে যেতে পারেননি , সেই গল্পগুলি যখন বই আকারে বের হয় তখন সেই সব গল্পের অলংকরণের ভার পড়েছিল অভিজিৎ বাবুর উপর ।
"আদিত্য বর্ধনের আবিষ্কার" শীর্ষক অসম্পূর্ণ ফেলুদা গল্পে অভিজিৎ বাবুর করা অলঙ্করণ

ফেলুদা সমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড থেকে



শিল্পী অভিজিৎ বাবু সম্পর্কে আরও বাড়তি তথ্য জানতে হলে আমি বলবো পূর্বে উল্লেখিত ভিডিও তিনটি অবশ্যই দেখুন (আমি নিচে ভিডিও গুলির লিংক আরো একবার দিয়ে দিচ্ছি ) আমি শিল্পী অভিজিৎ বাবুর ভক্ত অনেকদিন ধরেই ছিলাম , কিন্তু এই ইন্টারভিউ গুলি দেখার পর মানুষ অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় কে আমার আরো বেশি ভালো লাগে ।শিল্পী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাজের প্রতি একাগ্রতার কথা জানতে পেরে তাঁর কাজের প্রতি এবং তাঁর প্রতি আমার সম্মান অনেকগুণ বেড়ে গেছে। অবশ্যই দেখুন...




অভিজিৎ বাবুর করা কমিক গুলি পাবেন এখানে : অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়

Professor shanku/shonku comics

 প্রোফেসর শঙ্কু কমিকস্ 


গল্প : সত্যজিৎ রায়
কমিক : অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়

কমিক গুলি পড়ার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন ।






সত্যজিৎ রায়ের গল্প অবলম্বনে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের করা প্রোফেসর শঙ্কু কমিকগুলি পড়ার জন্য নিচের লিংকে যান ।
আমার আগে করা পোষ্টটি কোনো কারণে অটোমেটিক্যালি unpublished হয়ে যায় ।


পড়ুন

শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

Bengali ghanada/ghonada comics বাংলা ঘনাদা কমিকস্

 


ঘনাদা (Ghanada/Ghonada)

কমিকগুলি পড়ার জন্য এই পোস্টের নিচে যান

লেখক : প্রেমেন্দ্র মিত্র
ছবি : শুভ্র চক্রবর্তীরঞ্জন দত্ত

এখানে আমি যে কয়েকটি কমিক আপনাদের পড়ার জন্য দিচ্ছি , সেগুলো ছাড়াও ঘনাদার গল্পগুলি নিয়ে বিভিন্ন শিল্পী বিভিন্ন পত্রিকায় আরো কিছু কিছু কমিক এঁকেছেন । ঘনাদার উইকিপিডিয়া পেজ থেকে জানতে পারি আমার অন্যতম প্রিয় শিল্পী শ্রী গৌতম কর্মকার মহাশয় একসময় "কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান" পত্রিকার জন্য পাঁচটি ঘনাদা কমিক বানান । সেগুলি হলো - মশা , তেল , হাঁস , মাটি এবং মঙ্গল গ্রহে ঘনাদা ।
গৌতম কর্মকারের করা "মঙ্গল গ্রহে ঘনাদা"

রঞ্জন দত্ত-র করা হাঁস কমিকটি আমি ব্লগে শেয়ার করেছি । সেটি ছাড়াও শিল্পী আরো এক বা একাধিক কমিক করেছেন ঘনাদাকে নিয়ে । যার মধ্যে Ghanada Gallery -র সৌজন্যে ফুটো গল্পটির কথা জানতে পারি । 


রঞ্জন দত্তের করা "ফুটো" 

শিল্পী রেবতীভূষণ প্রথম ঘনাদাকে কমিকসে আনেন । সরাসরি লেখকের নির্দেশে শিল্পী প্রথমে ঘনাদার মুখাবয়ব আঁকেন এবং প্রেমেন্দ্র মিত্রের নির্দেশে তাতে পরিবর্তন করা হয় । 


রেবতীভূষণ , বিষয় কার্টুন , 2010 ( রেবতীভূষণ স্মরন সংখ্যা)


আমার খুবই আক্ষেপের বিজয় এই যে.. গৌতম বাবুর করা কমিকগুলি বা শিল্পী রেবতীভূষণ এর করা কাজ গুলি পড়ার সুযোগ আমার হয়নি । আমি অনেক খুঁজেও ওই কমিকগুলির  সন্ধান পাইনি। তবে রঞ্জন দত্তর করা একটি কমিক "হাঁস" আমি "ছবিতে গল্প" ব্লগের সৌজন্যে পেয়েছি । তাঁদের ধন্যবাদ । যদি কোনো সংগ্রাহক বা এমন কোনো পাঠক আমার এই পোস্ট পড়ছেন , যাঁর কাছে ওই কমিকগুলী আছে তাহলে সম্ভব হলে আমার সাথে যোগাযোগ করুন । একজন কমিক প্রেমী এবং ঘনাদার ভক্ত হিসেবে আমি ওই গল্পগুলি কমিকরূপে পড়ে দেখতে চাই। আর যদি সম্ভব হয়... অন্যান্য সকল কমিকপ্রেমীদের সাথে আমার এই ব্লগের মাধ্যমে share করতে চাই । 

তথ্যঋণ: উইকিপিডিয়া , ঘনাদা গ্যালারি 
কমিক ঋণ : ছবিতে গল্প , এবং অন্যান্য কমিক ব্লগ , websites


Click here to read the comics

পড়ুন ঘনাদা কমিক্স 
Bengali PDF Comics : Ghanada










বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু

ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু



নারায়ণ দেবনাথ এর অজস্র কমিক সৃষ্টির মধ্যে অন্যতম মজাদার একটি সিরিজ হলো  ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু । খাঁদুর তার দাদুর বিভিন্ন আবিষ্কারের অপব্যবহার করে বিভিন্ন ভাবে জব্দ হওয়ার গল্পগুলি যেকোনো পাঠকের মন জয় করে নেবে । বাঁটুল , হাঁদা আর ভোঁদা , নন্টে আর ফন্টে , কৌশিক , বাহাদুর বেড়ালের পাশাপাশি এই সিরিজটিও পাঠকদের মাঝে প্রায় সমান জনপ্রিয় । 

1983 সালে (১৩৯০ সন) "ছোটদের আসর" পত্রিকার জন্য নারায়ণবাবুর তুলির টানে জন্ম হয় খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদুর । যদিও পত্রিকাটি খুব বেশি দিন চলেনি । পরে 'সুখী গৃহকোণ' , 'তথ্যকেন্দ্র' , 'সোনার বাংলা' প্রভৃতি পত্রিকার পাতাতেও দেখা যায় এই দাদু-নাতি জুটিটিকে ।

বই হিসেবে প্রথম প্রকাশ হয় "গোল্ডেন কমিকস্" থেকে । পরে আবার পাত্র'জ থেকেও বই আকারে বের হয় এই কমিকস । বেশ কয়েকটি ইস্যু বের হয় এই সিরিজে । কিন্তু সিরিজের সব গল্প নারায়ণ বাবুর আঁকা ছিল না । পরের দিকের কিছু কিছু গল্প নারায়ণ বাবুর অনুকরণে অন্যান্য শিল্পীরা করেছেন । 

নারায়ণ দেবনাথ সমগ্র চতুর্থ খন্ডতে কৌশিক (মজুমদার) বাবুর লেখা থেকে জানতে পারি , এই সিরিজটি থেকে নাকি অ্যানিমেশন সিরিজও বানানো হয়েছিল । কিন্তু সে সিরিজ আমার দেখার সৌভাগ্য হয়নি এখনও। 

এবার আসা যাক কমিকসের গল্প প্রসঙ্গে...

হাঁদা-ভোঁদা বা নন্টে-ফন্টের মতোই ডানপিটে খাঁদু সিরিজের কমিকগুলোও সম্পূর্ন সাদা কালো স্ট্রিপে আঁকা । 

গল্প আমরা পাই আমাদের প্রধান দুই চরিত্র খাঁদু আর তার আবিষ্কারক দাদুকে । দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য দাদু নিত্যনতুন আবিষ্কার করতে থাকেন । আর খাঁদু যেন-তেন-প্রকারেন সেই সমস্ত আবিষ্কারের অপব্যবহার করে হেনস্তা হতে থাকে প্রতি গল্পে। আবার কখনো হয়তো দাদু নিজেই তাকে শায়েস্তা করেন ।

দাদুর বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার গুলোর মধ্যে যেমন ইঁদুর ধরার জন্য কলের বেড়াল আছে , তেমনি আছে যেকোনো জায়গায় চুল গজানোর স্প্রে । আবার কখনো দাদু বানিয়েছেন বিস্ফোরক বুদবুদ , আবার কখনো চুম্বকীয় শক্তি যুক্ত গ্লাভস । জুতো ছিঁড়ে যাওয়ায় অতিষ্ট হয়ে দাদু বানিয়েছেন হাওয়া দিয়ে ফোলানো জুতো... যা দিয়ে অনায়াসে দু মানুষ উঁচু দেয়াল ডিঙিয়ে পেরোনো যায় । আবার অন্য এক প্রকার জুতো - যা পায়ে পরলে জলের উপরেও হেঁটে যাওয়া যায় । আর এসব আবিষ্কার নিয়ে খাঁদু কিভাবে প্রতিবার বিপদে পড়ে... তাই এই গল্পগুলোকে এক প্রথম শ্রেণীর মজাদার কমিক্সের পর্যায়ে দাঁড় করায় ।

 এই সমস্ত বহুমুখী গ্যাজেট কেন যেন আমাকে জাপানিজ অ্যানিমেশন Doraemon এর কথা মনে করিয়ে দেয় । কেবল আবিষ্কারের নিরিখে দেখতে গেলে বলতেই হয়... এই সিরিজটি নিঃসন্দেহে Science Fiction বা কল্পবিজ্ঞান গোত্রের মধ্যে পড়ে । 

নারায়ণ দেবনাথের বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় তার সব সৃষ্টিতে লক্ষ্য করা যায় । তেমনি বলতে দ্বিধা নেই... ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু সিরিজটি নারায়ণ বাবুর বিজ্ঞানমনষ্ক দিকটির প্রমাণ বহন করে । 

আপনি যদি ডানপিটে খাঁদুর সমস্ত গল্পগুলি দুই মলাটের মধ্যে পড়তে চান । লালমাটি থেকে প্রকাশিত "ডানপিটে খাঁদু সমগ্র" বইটি সংগ্রহ করে নিতে পারেন । সম্ভবত বইটির বর্তমান দাম ১৩০ টাকা । 

এছাড়াও নারায়ণ দেবনাথ কমিক সমগ্রগুলির মধ্যেও আছে এই সিরিজটি । 

নীচে আমি বইটির একটি pdf দিলাম । বইটি আমি স্ক্যান করিনি । 

পড়ুন ( ফেসবুক ) / পড়ুন (গুগল ড্রাইভ)


মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কিছু কথা

Hello Comic Lovers....

অনেক বছর পর আজ আবার হটাৎ করে আজ এখানে এসে উপস্থিত হয়েছি । কিছু কথা ভাগ করে নেব বলে.... আর অবশ্যই সাথে অনেক অনেক নতুন-পুরনো কমিকস । 

অনেক কিছুই লিখতে চাই আজ এখানে । কিন্তু অনভ্যাসের ফলে বোধ হয় শব্দের দখল হারিয়ে ফেলেছি । ব্যাকস্পেসটার তাই আজ খুব ফুর্তি । কীবোর্ডের আজ সে-ই মধ্যমমণি । তবুও দেখা যাক... আজ বছর আষ্টেক পর যখন ফিরেছি.....

ফিরেছি???

আজকেই আমার খুবই প্রিয় একটা ব্লগে পড়লাম , ব্লগ মানে নাকি আমাদের e-diary । আর ডায়েরিতে নাকি কোনোরকম রাখ-ঢাক না করে মনের সব সব লিখতে হয় । সে চেষ্টাই করবো... যদিও ডায়েরি অনেকটাই ব্যাক্তিগত হয় । আর এখানে লিখব বলে ঠিক করেছি  যখন , সেটা যে অনেকের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্যেই.....


অনেকের ??

হ্যাঁ । দুই বাংলার প্রায় 12 লক্ষ কমিক প্রেমীর পদধূলি (??) পড়েছে আমাদের এই Bengali PDF Comics blog - এ ।নাম্বারটা এতটাই বড় যে , আমার সত্যিই বিশ্বাস করতে এখনও অদ্ভুত লাগে । কি করে সম্ভব হলো এই কমিক মিলনমেলা ? আমি এখনও ভেবে পাইনা ।

Current page view count


PDF:

2016 । আমার মাধ্যমিক শেষ হয়েছে । হাতে পেলাম স্মার্টফোন । আর সাথে পেলাম একটা নতুন ফাইল ফরম্যাট এর সন্ধান । MP3 , MP4 , Jpeg এনাদের সাথে পরিচয় থাকলেও স্মার্টফোন হাতে পাওয়ার আগে PDF কি জিনিস জানতে পারিনি । ( বুঝতে পারছি , অনলাইন ক্লাসে lockdown কাটানো ভাই-বোনদের হয়তো বিশ্বাস করতে একটু অসুবিধে হতে পারে - মাধ্যমিক দিয়ে দিল... তাও PDF কি জানতো না !? How naive !! ) 



আমার এখনও মনে আছে.... আমার ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা প্রথম pdf টি ছিল "শঙ্কু সমগ্র" । জেলা বইমেলাতে প্রতি বছর অপেক্ষা করে করে একটি একটি করে শঙ্কু বই কিনতে যেন আমার ধৈর্য ধরছিল না । একবারে সমগ্র টা পেয়ে গেলেই মিটে যায় !! যাই হোক । মিটে যায়নি । "শঙ্কু সমগ্র pdf" আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারলো না । আর সে বছরই জেলা বইমেলাতে শঙ্কুর ছোটো বইগুলো না নিয়ে "সমগ্রই চাই" দাবি করে বসলাম । দাবি মঞ্জুরও হলো । কাজেই.... পড়ে রইলো "শঙ্কু সমগ্র.pdf" । 



"শঙ্কু সমগ্র.pdf" আমাকে সন্তুষ্ট করতে না পারলেও , ষোলো বছরের আমি-র কাছে একটা বিরাট জগতের দরজা খুলে দিয়েছিল । সে সময় মনে হতো , যেকোনো বইয়ের পাশে "pdf" লিখে সার্চ করলেই যেন পেয়ে যাবো বইটি । পৃথিবীর আর কিছুই যেন অসম্ভব নয় !!!


COMIC:

সেভাবেই এ-বই সে-বই খুঁজতে খুঁজতে আমি আস্তে আস্তে প্রচুর ইবুকের ওয়েবসাইট এর সন্ধান পেলাম । আর তেমনই কোনো এক সাইটে আমার চোখের সামনে চলে আসে বাংলা টিনটিন এর একটি বই (গল্পের নাম আজ আর মনে নেই) । 

আমার জন্য যে জগতের দরজা "শঙ্কু সমগ্র.PDF" খুলে দিয়েছিল , তার সব থেকে সুন্দর অংশের পরিচয় আমি পেলাম আমাদের তরুণ বেলজীয় সাংবাদিকের হাত ধরে । 

টিনটিনের কমিক ইতিমধ্যে আমি পড়েছি । বেশিরভাগ গল্পগুলোই বই হাতে নিয়ে পড়া । কিন্তু সে বই আমার তাকের বাসিন্দা নয় । বন্ধুর টিনটিন , এক দাদুর বাড়ির টিনটিন , এমনকি পশ্চিম রাঢ় লাইব্রেরীর টিনটিন - এঁদের সাথে ভাব ভালোই ছিল । কিন্তু আমার নিজের টিনটিন ছিল না সে সময় । 

এই প্রথম আমার "নিজের" টিনটিন আমি হাতে (?) পেলাম.... বিভিন্ন ইবুক সাইট আর ব্লগের সৌজন্যে । 

এই সময়ের আগে টিনটিনের কতগুলো মোট গল্প... সে সম্বন্ধেও আমার পরিষ্কার ধারণা ছিল না । কোন গল্পের পর কোন গল্প সে ব্যাপারেও জ্ঞান ছিল অল্পই । ইন্টারনেট আমাকে পথ দেখায় সে ক্ষেত্রে.... আর প্রথমেই আমি আর একবার সোভিয়েত থেকে শুরু করে আমেরিকা , কঙ্গো হয়ে একটুখানি ভারতকেও ছুঁয়ে নেপাল , তিব্বত সব ঘুরে নিলাম । টুক করে একবার চাঁদের মাটিও ছুঁয়ে এলাম সাংবাদিক বন্ধুটির সাথে.... সেখানে গিয়ে শুনি নীল আর্মস্ট্রং নাকি এখনও পৌঁছাননি। [Adventure of Tintin : Explorers on the Moon (1953) । Apollo 11 Moon Landing (1969) ]

সেই শুরু....টিনটিন থেকে শুরু করে আরো অনেক পরিচিত অপরিচিত কমিক বই পড়তে লাগলাম , আর সংগ্রহ করতে লাগলাম pdf । 


এতটা পড়ে যদি মনে হয় এক তরুণ সাংবাদিকের হাত ধরেই আমার কমিক জগতের সাথে পরিচয় , সেটা কিন্তু ভুল নয় । তবে সে সাংবাদিক "লে পেতি ভ্যাঁতিয়েম" কাগজের টিনটিন নয় । সে সাংবাদিক আমার ছোটকাকু , তিমির কান্তি পতি। ছোটকাকুই আমাকে ছোটোবেলায় আনন্দমেলা , শুকতারা , কিশোর ভারতী-র সাথে পরিচয় করায়। কয়েকটা সন্দেশ - ও পেয়েছিলাম মনে আছে । সেই সাথে নন্টে ফন্টে , বাঁটুল , হাঁদা ভোঁদা- র মত অনেক কমিক বই হাতে নিয়ে পড়ার সুযোগ পাই ছোটকাকু সৌজন্যে । 

আবার ছোটকাকুর উৎসাহেই পত্রিকা দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে একাধিকবার ছাপার হরফে নিজের নাম দেখতে পাই । 


এক সময় অনেক দিন ধরে এক টানা আনন্দমেলা নেওয়া হতো বাড়িতে । 

নেওয়া মানে কিন্তু পেপারওয়ালা কাকুর মাধ্যমে বাড়িতে আসতো না সেগুলো । প্রত্যেক মাসের 5 আর কুড়ি তারিখে আমি নিজে গিয়ে নিয়ে আসতাম মোড়ের পেপার দোকান থেকে । কিন্তু সে ব্যাপার টা এমন রুটিন মাফিক হতো.... এখনও আমার কাছে প্রায় বছর চারেকের প্রতিটা কপি আনন্দমেলা আছে । একটাও সংখ্যা বাদ নেই মাঝে।  

সেই সময় আনন্দমেলায় অনেক কমিক পড়ার সুযোগ হয় । 

কমিকের সাথে যে সখ্যটা ছোটোবেলায় জন্মেছিল, সেটা ইবুকের অস্তিত্ব জানার পর যেনো আরো গাঢ় হয় । আগের থেকে এখন কমিক এর নাগাল পাওয়া সহজ হলো, অনেক বেশি কমিক পাওয়া গেলো, আর প্রিয় চরিত্রদের ব্যাপারে অনেক অনেক বেশি বেশি পড়ার সুযোগ হলো । 

ওকি সময়ে দেশে বিদেশে সুপার হিরো গোত্রের সিনেমার ব্যাপক প্রচার আর প্রসার শুরু হয়ে যায় । স্পাইডারম্যান , ব্যাটম্যান , সুপারম্যানদের মত character যাদের আমি কার্টুন ক্যারেকটার বলে ভাবতাম ; আয়রন ম্যান, হাল্ক এর মত চরিত্র যাদের আমি কেবল সিনেমার character বলে ভাবতাম...জানতে পারলাম তাদের শেকড়ের কথা । সবাই যে কমিকের পাতা থেকে উঠে এসেছে... এটা জানার পর DC আর Marvel comics এর মত বিভিন্ন বিদেশী কমিকও পড়া হতে লাগলো ইন্টারনেট এবং ইবুকের কল্যাণে । চরিত্ররা যদিও পূর্বপরিচিত ছিল... তাদেরকে আরো নতুন করে এবং নতুনভাবে জানতে আর চিনতে শুরু করি কমিক এর মাধ্যমে ।


BLOG:

বিভিন্ন সাইট থেকে কমিক ডাউনলোড করতে গিয়ে বা পড়তে গিয়ে আমার প্রায়ই মনে হতো... যদি আমিও পারতাম একটা মনের মত ওয়েবসাইট সাজাতে । যেখানে আমার পছন্দের সব কমিক থাকবে । যে চাইবে সব ইচ্ছে মত পড়তে পারবে । অ্যাড বা পপ আপের ঝামেলা থাকবে না । সব কমিক সুন্দর ভাবে সাজানো থাকবে । যার যেটা চাই... সব রকম বাংলা কমিকের One Stop Destination হবে আমার ব্লগ । 

শুধু অরিজিনাল বাংলা কমিকেই নয়।  বিভিন্ন অনুবাদকের অনুবাদ করা কমিক ও থাকবে সেখানে । আর থাকবে আমার নিজের অনুবাদ করা পছন্দের কমিক । হ্যাঁ । আমি অনুবাদ করবো বলেও ভেবেছিলাম । আর অনুবাদের কাজ শুরুও করেছিলাম । কিন্তু সে কাজ শুধু শুরুই হয়েছিল.....


নিজস্ব website বানানোর শখ ছিল বটে... কিন্তু মনে মনে জানতাম... সে শখ পুরো হবে না নিকট ভবিষ্যতে । কারণ আমি জানতাম ওয়েবসাইট বানানোর জন্য পয়সা লাগে । সেটা কিভাবে হবে... কত টাকা লাগবে..কিভাবে হবে জানতাম না । UPI এর concept তখন ছিল না ।


কিন্তু তার পরেই ভারতে এসে একটা BOOOM!! জিওর হঠাৎ আগমনের ফলে হটাৎ করে সব ভারতীয়রা ইউটিবার হতে শুরু করে... আর ইউটিউবার মানেই হয় টেক চ্যানেল নাহয় গেমিং ( Vlogging তখনও unpopular) ।  

আর যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য আমিও আর গুগল search করার পরিবর্তে ডাইরেক্ট ইউটিউব সার্চ বারে টাইপ করতে শুরু করলাম । 

তেমনি এক "how to make own website for free?" এর জবাবে ব্লগার ডট কমের সন্ধান জানা গেলো । 


ব্যাস । Bengali PDF Comics এর জন্ম হলো । 


THE BEGINNING AND THE END :

নতুন "ওয়েবসাইট" তৈরি তো হলো.... এবার ?

Pdf কালেক্ট করা তো ছিলই। এবার সে সব ক্লাউড স্টোরেজে আপলোড , পোস্ট লেখা , পোস্টের জন্য ছবি বানানো , ব্লগের টেমপ্লেট এডিট করা থেকে শুরু করে সব রকম কাস্টোমাইজেশনের জন্য লেগে গেলাম । উৎসাহের কমতি ছিল না । নতুন নতুন বই কালেক্ট করতে লাগলাম । আর আপলোড । 

শুধু যে ডাউনলোড করেই আপলোড করেছি, এমন নয় । নিজের কাছে থাকা বিভিন্ন কমিক এর ছবি তুলে pdf বানিয়ে সেগুলোও আপলোড করতে লাগলাম । আমার স্ক্যানার ছিল না (এখনও নেই) । 


সে সময় আমার এই ব্লগের টিনটিন কালেকসনটি সম্ভবত "বাংলার সব থেকে বড়" টিনটিন কালেকসন ছিল । 

অনেকে অনেক সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করতেন । আমি খুব উৎসাহ পেতাম । আরো আগের থেকে বেশি উদ্যমে কাজ করতাম ব্লগটার পিছনে । 

এখন যদিও দেখলে মনে হয় ফালতু অনেক জিনিসের উপর খেটেছি... যেগুলো দরকার ছিল না । এদিকে টিনটিন পোস্টের ইন্ট্রো তে যা লিখেছি... সেটাই কপি করে পরের পোস্টেও পেস্ট করে দিয়েছি । 

এখন যাই মনে হোক... সে সময় আমি খুব খুশি ছিলাম আমার কাজ নিয়ে । অনেকে পড়ছেন , খুশি হচ্ছেন ,আমার উদ্দেশ্যে কত ভালো ভালো কমেন্ট করছেন  , কোনো কমিক এর রিকোয়েস্ট করছেন.... সব কিছু খুব ভালো লাগছিল । 


তারপর....কয়েকমাস পর আমি ক্লাস 12 এ উঠলাম । আর...... ব্লগ দেখাশোনা কদিনের জন্য স্থগিত রাখবো ঠিক করলাম । পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেই আবার অনেক অনেক পোস্ট করবো । সব সাজিয়ে রেখেছি... কোনো সমস্যা হবে না । মাত্র কটা মাসের ব্যাপার....(?)

সেই জন্যে একটা পোস্ট দিলাম । "ফালতু পোস্ট" লেবেলের under-এ লিখলাম "পরীক্ষা শেষ হলেই আসছি । অনেক কমিক আছে আমার কাছে । সব পোস্ট করা হবে ।"

সেটা কম করেও ছ' বছর আগের কথা । আমি আমার কথা রাখিনি । 

পরীক্ষার পর অনেকবার ভেবেছি ফিরে আসবো... শুরু করবো.... কিন্তু.... সেই আগ্রহ আর পাইনি। 

না । কমিকস এর কথা বলছি না এখানে । সে আগ্রহ বেড়েছে বই কমেনি বছর বছর । এখন আমার সংগ্রহে ষোলো বছরের আমি -র থেকে অনেক বেশি কমিক বই আছে । ইতিমধ্যে পড়েছি অনেক বেশি । কিন্তু ব্লগ চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ পাচ্ছিলাম না । 

মাঝে এক দুবার পোস্ট করেছিলাম । কিন্তু সে সব কারো রিকোয়েস্টে হয়তো । কিন্তু আগের উৎসাহ ছিল না কিছু মাত্র....


COMEBACK?

কিন্তু আজ এত দিন পর কি হলো আবার ? আজ 2024 সালে আমি আমার 2017 সালের কয়েকমাসের একটা শখকে আবার খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করছি । চেষ্টা করছি সেটাকে আবার বাঁচিয়ে তোলার । 

একটা বিশেষ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আজ হঠাৎ করে যেন আমার সেই 2017 এর নতুন ব্লগ খোলার পরের উৎসাহটা ফিরে পাচ্ছি । দেখা যাক......

আমি পুরনো পোস্ট গুলো বেশিরভাগই রিমুভ করলাম সাইট থেকে আজ । লিংক গুলো কাজ করছিল না অনেক ক্ষেত্রেই । সব নতুন করে পোস্ট করা হবে । আগের থেকে বেশি পোস্ট করা হবে (আশা করি) । আর এবার একটু সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট করা হবে । 


রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো......সবাই ভালো থাকবেন, কমিক পড়তে থাকবেন ।


শান্তনু ঘোষের দেওয়াল থেকে




সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২

নক্ষত্র পতন

 চলে গেলেন নারায়ণ বাবু.... শোকস্তব্ধ কমিক জগৎ!

শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭

একটি ফালতু পোস্ট

এই পোস্টে কোনো কমিকস্  নেই ।

আজ আমার ইন্টারনেটের ব্যালেন্স শেষ হচ্ছে ।
এবং এবছর আমি ক্লাস 12 এ উঠছি ।
তাই একবছর no more posts  ।

আমার কাছে অনেক গুলো কমিকস্ ছিল , কিন্তু সেগুলো share করতে না পারায় আমি খুবই দুঃখিত  ।

Take care.....
Thanks for visiting my blog.....

----Debdatta

বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০১৭

Goyenda Kaushik Narayan Debnath comics in pdf

Narayan Debnath's

GOYENDA KAUSHIK
গোয়েন্দা কৌশিক


READ NOW

Click the Button below to read the comic

(145 MB)

(High quality)
[Mediafire link]

শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭

Narayan debnath comics samagra নারায়ণ দেবনাথ সমগ্র

Download 




নারায়ণ দেবনাথ সমগ্র Narayan Debnath samagra


I am a huge fan of Comics , specifically when it is about Tintin . You can scroll  down easily to the download link ; but you can read here about my passion or what I am doing  and why I am doing this . I am a comic lover since I was a child . I've gone through many comics day by day . So I can feel the craze of Comics and what actually comics can do . As , if you are sad for some reason , just take a Bantul The Great in your hand and get ready . I bet you can not but finish the book . That will also make you feel better and will erase your sadness . Comics are like magic . They do something that I cannot  just express using few letters . 
Comics are Emotions. 

But , if you want to read comics in bengali it is not so easy to find all that you want in a single place. It is not so easy to buy them all too. Sometimes many People who live cannot find what they want in book stores . So we've chosen and easier way to take all books to you digitally.  
This is my venture to provide you with the Comics you want in Bengali  . Stay tuned with Bengalipdfcomics.blogspot.com

Thank you...if you just read this. 




Narayan Debnath comics samagra  all 3 parts in bengali for free click here...


শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৭

Download 34 Bengali Tintin comic books here

Tintin Bengali comics

[Bengali pdf comics]




Read largest collection of Tintin comics here

All 34 books in Bengali

(কমিকগুলি পড়ার জন্য এই পোস্টের একদম শেষে স্ক্রোল করুন ।)




টিনটিন এর সব থেকে বড় web-collection এখানে

হার্জ এবং তাঁর সিগনেচার



আসুন স্রষ্টাকে চিনি

"আজ তাঁতাঁর জন্মদিন, সারা পৃথিবী যাকে টিনটিন নামে চেনে। ৯৪ বছর আগে বেলিজিয়ামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা "ল্য প্যতি ভান্তিয়েম" (Le petit vingtième)-এ  জন্ম তার। ভাষাটি ফরাসি হলেও তাঁতাঁ তাই আসলে বেলজিয়ান। তার জন্মদাতা সেদেশের বিখ্যাত কার্টুনিস্ট জর্জ রেমি (উচ্চারণ হ্রেমি), যাঁকে তাবৎ দুনিয়া এয়্যার্জে নামে চেনে। আসলে নিজের নামের আদ্যক্ষর "আর" (ফরাসি উচ্চারণে এয়্যার্হ) এবং "জি" (ফরাসি উচ্চারণে জে, জ-এর উচ্চারণ আবার অনেকটা ইংলিশ শব্দ প্লেজার-এর এস এর মতো) এই দুটোকে স্রেফ উলটে দিয়ে রসিক মানুষটি নিজের পেন-নেম রাখেন এয়্যার্জে। 

জন্মেছিলেন ব্রাসেলস-এ। পড়েছেন সেখানকার সাঁ বোনিফাস কলেজে। কলেজের দিনগুলো একঘেয়ে লাগত বলে যোগ দিয়েছিলেন বয় স্কাউটে। সেখানকার ম্যাগাজিনে ছবি আঁকাআঁকি শুরু করেন। কলেজ থেকে পাশ করে বেরিয়ে "ল্য ভ্যান্তিয়েম সিয়েক্ল" (বিংশ শতাব্দী) ম্যাগাজিনের সাবস্ক্রিপশন এডিশনে চাকরি পান। কিন্তু ১৯২৭-এ মিলিটারি সার্ভিসের জন্য চাকরি জীবনে ছেদ পড়ে। আখেরে ভালই হয়েছিল। কারণ ঠিক পরের বছরেই ছোটদের জন্য ওই ম্যাগাজিনেরই সাপ্তাহিক ভার্সন ল্য প্যতি ভ্যান্তিয়েম-এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর। আর সেই সূত্রেই ১৯২৯ এর ১০ই জানুয়ারি জন্ম তাঁতাঁ ওরফে টিনটিনের। 

কমিক স্ট্রিপ, যাকে ফরাসিরা বলে বন্দ দেসিনে (Bande dessinée) , তার কিন্তু একটা বিরাট বড় জায়গা আছে বেলজিয়াম দেশটায়। মার্সুপিলামি, লুসি লিউক, গাস্তঁ লাগাফ, দ্য স্মার্ফ এমন বহু বিখ্যাত কমিক্স এর জন্ম সেদেশে। পৃথিবী বিখ্যাত অ্যাসটেরিক্স-এর জন্ম ফ্রান্সে হলেও সেটি কিন্তু ফ্রংকো-বেলজিয়ান কমিক্স। শুধু তাই না, কমিক স্ট্রিপ-এর আস্ত একখানা মিউজিয়াম আছে ব্রাসেলস শহরেঃ "সন্ত্র বেলজ দ্য লা বন্দ দেসিনে" (Centre Belge de la Bande Dessinée। ২৫ বছর ধরে এই মিউজিয়াম ব্রাসেলস শহরের অন্যতম বড় ট্যুরিস্ট আকর্ষণ। 

প্রথম দিকে টিনটিনের গল্পগুলো এমন জমজমাট ছিল না। একটু হালকা মজা আর লাগামছাড়া কল্পনার মিশেল ছিল সেগুলোয়। কিন্তু ১৯৩৪ সালে, ব্রাসেলস-এর আকাদেমি অফ ফাইন আর্টস এর চীনা ছাত্র চং জেন বন্ধু জর্জ রেমিকে বোঝান, একটু রিসার্চ করে গল্পগুলো লিখলে বেশ হয়। সেই শুরু। এর পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টিনটিন বেরোতে থাকে "ল্য সোয়ার" (উচ্চারণ সোয়াহ) পত্রিকায়। সেসময়ে ল্য সোয়ার যেহেতু যুদ্ধে অধিকৃত নাৎজি জার্মানির অনুগ্রহে বেরোত, তাই এই কাগজের কমিক্স হিসেবে বেশ কিছু জায়গায় টিনটিনের ওপরেও অনেকদিন সেন্সরশিপ ছিল। যদিও টিনটিন পড়লেই মালুম হয় ইওরোপের সেই সর্বগ্রাসী শাসন নিয়ে টিনটিন তথা এয়্যার্জে-র মনোভাব কেমন ছিল। 

বেশি তথ্যসমৃদ্ধ লেখায় আমার নিজেরই একটু অনীহা হয়। তবে ফরাসি ভাষা শেখানোর পাশাপাশি যেহেতু এই সাংস্কৃতিক দিকগুলোর সঙ্গেও আমার ছাত্রছাত্রীদের পরিচয় করিয়ে দিই, তাই আজ ইচ্ছে হল সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। গুগল করলে যদিও সবই পাওয়া যাবে। 

ও হ্যাঁ, টিনটিনের ছোট্ট সাদা ফক্স টেরিয়ার যাকে ইংলিশে 'স্নোয়ি' নামে আর বাংলায় আমাদের প্রিয় কবি ও অনুবাদক নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সূত্রে যারা আমরা 'কুট্টুস' নামে চিনি, তার আসল নাম কিন্তু "মিলু" (Milou)।"

লিখেছেন : দোয়েলপাখি দাশগুপ্ত ( 10/01/23)









 Download TINTIN BENGALI COMICS here



Tintin all comics in bengali pdf

Free download all tintin comics without any ad



best bengali comic site ever


(I am a huge fan of Comics , specifically when it is about Tintin . You can scroll  down easily to the download link ; but you can read here about my passion or what I am doing  and why I am doing this . I am a comic lover since I was a child . I've gone through many comics day by day . So I can feel the craze of Comics and what actually comics can do . As , if you are sad for some reason , just take a Bantul The Great in your hand and get ready . I bet you can not but finish the book . That will also make you feel better and will erase your sadness . Comics are like magic . They do something that I cannot  just express using few letters . 
Comics are Emotions. 

But , if you want to read comics in bengali it is not so easy to find all that you want in a single place. It is not so easy to buy them all too. Sometimes many People who live cannot find what they want in book stores . So we've chosen and easier way to take all books to you digitally.  
This is my venture to provide you with the Comics you want in Bengali  . Stay tuned with Bengalipdfcomics.blogspot.com

Thank you...if you just read this.
- Debdatta - 2017)

"কুট্টুস"

প্রসঙ্গ " কুট্টুস"

নীরেনবাবুর কন্যা শিউলি সরকার আনন্দমেলার দিনে নীরেনবাবুর পাশে দাড়িয়ে থেকে অনুবাদ এর কাজ চাক্ষুষ দেখেছিলেন । তিনি বলেন "বাবা কিন্তু মূল ফরাসি মিলু বা ইংরেজির স্নোয়ির সাথে মিলিয়ে নাম রাখতে চান নি । হাড় - রসিক এই কুকুরের নামে একটা কামড়ের অনুষঙ্গ যোগ করতেই টা হলো , কুট্টুস।"

 
ফার্স্ট ম্যান অন দা মুন : টিনটিন